পৃষ্ঠাসমূহ

The key to solution is right here, in our hearts...


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

অন্য মুসলিমের প্রতি শ্ত্রুতা পোষণ করার ব্যাপারটা কেন জানি আজ মুসলিমদের মধ্যেই মহামারি আকার ধারণ করেছে। একে অন্যের প্রতি ঘৃণা, ঈর্ষা, বিদ্বেষ, কারো নামে অন্যের কাছে বিষাদাগার ছড়ানো, কারো মতের বিরোধিতা করতে গিয়ে তুলকালাম কান্ড বাঁধিয়ে দেওয়া, মানুষের চরিত্র হননের চেষ্টা করা! এবং দিনশেষে উম্মাহর ঐক্যের জন্য আহাজারি! খুবই জগন্য ব্যাপার স্যাপার! ব্যক্তিগতভাবে আমি আপনি কেউ ভুলের বাইরে নই। বুকে হাত দিয়ে কেউ বলতে পারব না যে, আমি আপনি পাপের মধ্যে নেই। বলতে পারব না যে আমি আপনি সবসময় আল্লাহ্‌র আদেশ মেনে চলেছি। নিজেদের জাহিল জীবনের কথা মনে পড়লে লজ্জায় একেক জনের মাথা নিচু হয়ে যায়। তারপরও যে ইসলামকে আপনি আমি জীবন ব্যবস্থা হিসেবে নিয়েছি তা কেন আমাদের জন্য ফলাফল বয়ে আনতে পারছে না?  কারণ এখনো আমরা অন্তর থেকে কিছু আবর্জনা পরিষ্কার করতে পারিনি। ওয়াল্লাহি নিজেদের অন্তরকে শয়তানের জন্য উন্মুক্ত করে আমরা কখনো ইসলাম থেকে উপকৃত হতে পারবনা। এর সমাধান কোথায়? এখানে, এই যে আমাদের অন্তরে! The key to solution is right here, in our hearts…


 মাঝে মাঝে বাড়ীতে গেলে প্রায়ই আমার আত্মীয় স্বজনদের দেখি গোল হয়ে বসে আলোচনা করছে। আলোচনার বিষয়বস্তু সবসময়ই থাকে অমুক এমন, তমুক তেমন, ও এই বলছে, অমুক মানুষটা খুব খারাপ, ওর কি কি দোষ ব্লা ব্লা ব্লা! বিশেষ করে বাড়ীর তিন চারটা মহিলা একত্র হলে মানুষের চোদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করেই ছাড়বে। এরকম একটা আড্ডায় বসে তাদেরকে গীবতের ভয়াবহতার কথা বলছিলাম। অনেকক্ষণ কথা বলার পর মনে মনে ভাবছিলাম, অনেক কিছুই তো বললাম কিন্তু আমার মনটাও কি পরিষ্কার? আমার কোন মুসলিম  ভাইয়ের কোন দোষ ত্রুটিও কি আমি ডেকে রাখি? এক জনের নামে অন্যের কাছে বিষাদাগার করার সময় কি আমিও আল্লাহকে ভয় করি? আল্লাহ্‌ ক্ষমা করুন। আল্লাহ্‌ আমদের হেফাজত করুন।



ফেসবুকে ইসলাম নিয়ে বেশ ভালো লেখে এমন কয়েকজন ভাইয়ের কিছু চারিত্রিক ত্রুটির বিষয়ে একবার একজন আমাকে বলেছিল। আমি খুব অবাক হয়েছিলাম। কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ হয়নি,  শয়তান এরপর অনেক সুযোগ নিয়েছে। এরপর থেকে যেটা হত সেসব ভাইদের লেখা দেখলেই আমার তাদের প্রতি একটা খারাপ ধারণা চলে আসত, ভালো কথার আড়ালে তাদের চারিত্রিক ত্রুটিগুলোই আমার মনে বেশী হাইলাইট হওয়া শুরু করল। মন থেকে কোনমতেই সরাতে পারতাম না। আল্লাহু আকবার। খুব সামান্য একটা ঘটনা। অথচ শয়তান কিভাবে অন্য মুসলিম ভাইদের প্রতি আমাদের মনে বিরুপ ধারণা তৈরি করে দিল। আল্লাহ্‌ আমাদের ক্ষমা করুন। আল্লাহ্‌ আমাদের ক্ষমা করুন।



অন্য মানুষের বিরোধিতা করার পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। যেমন, জাফর ইকবাল মানুষটাকে অনেকে অনেকভাবে ঘৃণা করে। কেউ ঘৃণা করে সে শুধু জামাত শিবির বিরোধী বলে। কেউ ঘৃণা করে তাঁর জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে। কেউ ঘৃণা করে তাঁর আইডিওলজির সাথে মিলেনা বলে। অথচ একজন মুসলিম হিসেবে তাঁর বিরোধিতা করার একমাত্র কারণ হওয়া উচিত শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র জন্য। ইসলামের প্রতি তাঁর বিদ্বেষটাই তাকে ঘৃণা করার একমাত্র মানদণ্ড হওয়া উচিত ছিল। জাফর ইকবালের উদাহরণটা এবার আমরা আমাদের মুসলিম ভাইদের সাথে তুলনা করি। আল্লাহ্‌র জন্য সম্পর্ক গড়া আর আল্লাহ্‌র জন্যই তা ছিন্ন করার ঈমানি শর্ত কতটুকু বজায় থাকে মুসলিম ভাইদের প্রতি আমাদের আচরণে? কারো সাথে মতের অমিল হচ্ছে বলে, কেউ আহলে হাদিস/সালাফি আর কেউ মাযহাবের অনুসারি বলে, একজন নাভির নিচে হাত বাঁধে আরেকজন বুকে হাত বাঁধে বলে, একজন রাউফুল ইয়াদাইন দেই আরেকজন দেয়না বলে আমাদের মুসলিমরা পারলে একেকজনের মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলে!



মানুষ মাত্রই আলাদা, আমাদের চিন্তা চেতনা আলাদা, আমাদের জ্ঞানের পরিসর আলাদা। আমরা চারপাশের পৃথিবীটাকে আমাদের অর্জিত জ্ঞান এবং অবিজ্ঞতার নিরিখে বিচার করার চেষ্টা করি। তাই আমাদের সবারই আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি থাকাটাই স্বাভাবিক।  চাইলেও আমরা একই মত কিংবা মানহাজের অনুসারি হতে পারবনা। মানুষ যদি একটা মতকে সঠিক হিসেবে নেয় আর মনে করে যে সবাইকে তাঁর মতই অনুসরণ করতে হবে তাহলে এখানে ঐক্যের কোন সুযোগ নেই। বরং তা সমাধানের পথকে আরো সঙ্কীর্ণ করে দেয়। মতপার্থক্য থাকবেই। so we should not try to eliminate the differences of opinion, we should try to deal with the differences! এমনকি সাহাবাদের মধ্যেও মতপার্থক্য ছিল। ফেরেশতারাও মতপার্থক্য করেছে। আমরা সবাই  এক লোকের ব্যাপারে সেই হাদিসটা জানি যে নিরানব্বইটা খুন করেছিল। তাঁর মৃত্যুর পর ফেরেশতারা মতপার্থক্য করেছিল। একজন বলেছিল জান্নাতে যাবে আরেকজন বলেছিল জাহান্নামে! সুবাহানাল্লাহ!  



রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সবচেয়ে কাছের দুই মানুষ আবু বকর (রাঃ) এবং উমার (রাঃ) এর মধ্যে মতের অমিল হত প্রায় প্রতিটা ইশ্যুতে। আবু বকর (রাঃ) ছিলেন বেশ নরম স্বভাবের অন্যদিকে উমার (রাঃ) ছিলেন বেশ কঠোর। যে কারণে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু বকর (রাঃ) কে  বলেছিলেন, তুমি হচ্ছ ঈসা (আঃ) এবং ইব্রাহীম (আঃ) এর মত আর উমার (রাঃ) কে বলেছিলেন, তুমি হচ্ছ মুসা (আঃ) এবং নূহ (আঃ) এর মত! এরপরও আম্বিয়া কেরামদের মধ্যেও মতপার্থক্য ছিল। তাই এটা  গুরুত্বপূর্ণ নয় যে আমরা সবাই একইরকম চিন্তা করব কিংবা একই মত অনুসরণ করব। বরং মতের বৈচিত্রের কারণেই ইসলাম ধর্ম হিসেবে বিভিন্ন সময়কালে উম্মাহর কাছে flexible হয়েছে।  দেখা গেছে যেখানেই মতের অমিল হয়েছে তা পরবর্তিতে উম্মাহর জন্য কম্যাণকর হিসেবে দেখা দিয়েছে।  তাই মতের অমিল কিংবা মতের বিরোধিতা কখনই অন্য মুসলিম ভাইয়ের প্রতি ঘৃণা, বিদ্বেষ কিংবা শত্রুতার মানদণ্ড হতে পারেনা।



মুসলিম ভাইদের প্রতি আমাদের সহনশীলতার পথে অন্যতম অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ফিকাহর প্রায়রিটি না বোঝা! উম্মাহর বড় বড় অতি প্রয়োজনীয় ইশ্যগুলোতে মাথা না ঘামিয়ে অতি অপ্রয়োজনীয়, ছোটখাট ব্যাপার নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড বাঁধিয়ে ফেলা। আমাদের এলাকার মসজিদে একদল মুসলিম লিফলেট বিতরণ করেছে নামাজে জোরে আমীন বলা, বুকে হাত বাধা, রাউফুল ইয়াদাইন এধরণের ব্যাপারগুলো নিয়ে। লিফলেটে তাদের পক্ষের মতে ঠিক চিহ্ন দেওয়া, আর অন্য পক্ষের মতে ক্রস চিহ্ন দেওয়া! এটার ফলাফল ছিল কয়দিন পর সেই লিফলেটের বিরুদ্ধে অন্য দল বিতরণ করেছে তাদের পক্ষের লিফলেট! একবার হজ্জের সময় এক লোক আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, ইহরাম অবস্থায় মশা মারা যাবে কিনা!! আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন তাঁর বাড়ী কোথায়। সে বলল, ইরাকে! তখন ইবনে উমার বললেন,  তোমরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রিয় নাতিকে হত্যা করেছ আর এখন জিজ্ঞেস করছ মশা মারা যাবে কিনা?  



 একবার এক লোক ইয়েমেন থেকে উমার (রাঃ) এর কাছে এসে একটা ফতওয়া জানতে চাইল। উমার (রাঃ) বললেন, এই ঘটনা ঘটেছে কিনা? লোকটি উত্তরে বলল, না! তখন উমার (রাঃ) বললেন, তুমি ইয়েমেনে ফিরে যাও, এই ঘটনা যখন ঘটবে তখন এসে জিজ্ঞেস করবে, আমি বদর যুদ্ধের সাহাবীদের নিয়ে শূরা বসিয়ে তোমার প্রশ্নের উত্তর দিব। this was the practicality of shahaba!  আমরা এমন ব্যাপারে কেন সময় নষ্ট করব যেখানে উম্মাহর জন্য কোন খায়ের নেই? বিশাল বিশাল হাইপোথেটিক্যাল বিষয়ে সময় নষ্ট করা উম্মাহর দুর্দশার ব্যাপারে  আমাদের গাফিলতির অন্যতম কারণ। এটাই অন্যতম কারণ যে আমরা একে অন্যের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন হয়েছি। একে অন্যের প্রতি বিষাদাগার ছড়াচ্ছি। ওয়াল্লাহি আমরা নিজেদের অন্তরকে বিষিয়ে তুলছি।

উম্মাহর ঐক্য কি?? উম্মাহর ঐক্য মানে এই না যে আমরা সবাই ফটোকপি হব, সবাই এক হব। নিজেদের মধ্যে মতের অমিল রাসুল (সাঃ) সময় থেকেই ছিল এটা সারাজীবন থাকবে। উম্মাহর ঐক্য হল যখন আপনার মুসলিম ভাইয়ের কষ্টে আপনি ব্যতিত হবেন,  তাঁর বিপদে আপনি এগিয়ে যাবেন। উম্মাহর ঐক্য হল এখানেই যে মতের অমিল সত্তেও আমরা একে অন্যের পাশে এসে দাঁড়াব। ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, মধ্য আফ্রিকা যেখানে মুসলিম উম্মাহ চরম দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেদিকে কোন ভ্রূক্ষেপ না করে নামাজে হাত বাধা, জোরে আমীন বলা না বলা নিয়ে মতের মিল অমিল আমাদের ঐক্যে কোন প্রভাব ফেলতে পারেনা। বরং ইহুদি খিস্টান্দের মত ধর্মের খুঁটিনাটি ব্যাপারে বাড়াবাড়ি আমাদের ধংসেরই কারণ হবে। আল্লাহ্‌ আমাদের ক্ষমা করুন।



আল্লাহ্‌র কাছে বারবার আমাদের উচিত আমাদের অন্তরের হেফাজতের জন্য দোয়া করা। আল্লাহ্‌ যেন আমাদের অন্তরকে মুসলিম ভাইদের প্রতি হিংসা, বিদ্বেষ, ঈর্ষা, ঘৃণা থেকে হেফাজত করেন।



একবার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবাদের বললেন, এখন একজন লোক আসবে যে জান্নাতি হবে। একজন আনসার সাহাবি উপস্থিত হলেন। এর পরের দিন  রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবারো বললেন, এখন একজন লোক আসবে যে জান্নাতি হবে। সেই আনসার আবারও উপস্থিত হলেন। এরপরের দিনও একই ঘটনা ঘটল। এই দেখে  আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল  আস ভাবলেন এই মানুষটির মধ্যে কি এমন আছে যে  রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জান্নাতি বললেন? তিনি সেই সাহাবির কাছে গিয়ে বললেন, “আমার আব্বার সাথে আমার ঝামেলা হয়েছে এবং আমি তিনদিন বাড়ীতে যেতে পারব না। আমি কি আপনার সাথে এই তিনদিন থাকতে পারি?” ঐ আনসার সাহাবি আপত্তি করলেন না।

তিনি আশা করে ছিলেন হয়ত এই লোক সারারাত ইবাদাত করবে। কিন্তু ইবাদাত করার বদলে তিনি ঘুমিয়ে গেলেন। ফজরের আগে কয়েক রাকাত স্বলাত আদায় করলেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস ভাবলেন তিনি হয়ত রোজা রাখবেন কিন্তু সকালে উঠে তিনি নাস্তা করলেন।  আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস ভাবলেন হয়ত প্রথম দিন কোন সমস্যা হয়েছে,  নিশ্চয় তিনি পরের দিন থেকে ইবাদাত বন্দেগীতে মশগুল থাকবেন। কিন্তু পরের দুই দিনও একই ঘটনা ঘটল। তিনি ভাবলেন এর মধ্যে এমন কি আছে! এরপর তিনি ঐ আনসারের কাছে গিয়ে বললেন, দেখেন আসলে আমার আব্বার সাথে আমার কোন ঝামেলা হয়নি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন আপনি জান্নাতি হবেন তাই আপনার মধ্যে আলাদা কি আছে তা জানার জন্যই আমি আপনার সাথে ছিলাম। কিন্তু আমি তো কিছুই দেখতে পেলাম না। আনসার বলল, এটাই আমার জীবন, এতে ভিন্নতা কিছু নেই।আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস চলে যাচ্ছিলেন তখন আনসার সাহাবি উনাকে ডেকে বললেন, তুমি আমাকে যেরকম দেখেছ এর বাইরে আমার মধ্যে আলাদা কিছু নেই তবে ঘুমোতে যাবার আগে আমি  কোন মুসলিমের প্রতি কোনরকম ঘৃণা, ঈর্ষা পুষে রাখিনা! আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস বললেন, এটাই কারণ যার জন্য রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন আপনি জান্নাতি।

প্রায়ই আমরা অন্যের সমস্যা আর ভুল ত্রুটিগুলোকে বড় করে তুলি। মানুষের ভুল ত্রুটির ব্যবচ্ছেদ করতে করতে আমরা ভুলেই গেছি হাশরের মাঠে আমরা শুধুমাত্র একাকি আমাদের রবের  মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। আল্লাহ্‌ আমাদের ক্ষমা করুন।



যাদের অন্তরে সমস্যা আছে তারা সমাজে সবসময়ই ঝামেলা পাকাতে থাকবে। এরকম একজন ছিলেন আবু হাতিয়া। তিনি ছিলেন একজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক। তাঁর স্বভাব ছিল সর্বদাই মানুষের সাথে ঝামেলা বাধানো। তিনি একবার ঠিক করলেন বাড়ীর বাইরে গিয়ে যাকে পাবেন তাকেই অভিশাপ দিবেন। কিন্তু বাইরে তিনি কাউকেই পেলেন না। এরপর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকেই বলা শুরু করলেন, “আল্লাহ্‌ তোমাকে একটা কুৎসিত চেহারা দিয়েছেন, আল্লাহ্‌ এটাকে আরো কুৎসিত করুন 



শেষকথাঃ আসুন আমরা আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করি তিনি যেন আমাদের অন্তরের ত্রুটিগুলো দূর করে দেন। আমাদের অন্তরকে শয়তানের ব্যাধিমুক্ত করেন। আমাদের অন্তরকে যেন আমাদের মুসলিম ভাইদের প্রতি হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা, বিষাদাগার থেকে হেফাজত করেন। আমাদের মতের অমিলগুলো নিয়েও আমরা যেন ভিন্ন ভিন্ন ডালে থেকেও তাওহীদের একই বৃক্ষে থাকতে পারি। অন্যের ব্যক্তিগত ত্রুটিগুলো যেন মানুষের সামনে উন্মুক্ত করে আখিরাতে আমাদের জবাবদিহি কঠিন না করি। আমীন ইয়া রব আমীন।