কারাগারের প্রকোষ্ঠ থেকে কিছু সময়ের জন্য পালিয়ে যাবার তিনটি পদ্ধতি আছে এবং আপনার যখন খুশি তখনই এই কাজটি করতে পারেন!
১)প্রথম
উপায়টি হল কুরআন পড়া, এর মাধ্যমে আল্লাহ আপনাকে কারা প্রকোষ্ঠ থেকে ছাড়িয়ে
দূর-দূরান্তে ভ্রমণ করাতে পারেন। কখনো তিনি আপনাকে নিয়ে যাবেন লক্ষ কোটি
বছর আগের সময়ে, পৃথিবী ও আকাশের সৃষ্টিরও পূর্বে। কখনো নিয়ে যান হাজার বছর
আগে সেসব নবীদের যুগে, যারা আপনার আগে এসেছেন। কখনো তিনি আপনাকে ঘুরিয়ে
দেখান নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর যমানা, আর সেখানে
আপনি দেখা পাবেন সাহাবাদের। কখনো তিনি নিয়ে যান জাহান্নামের কারাগারে। কখনো
তিনি আপনাকে নিয়ে ভবিষ্যতে, হাজার বছর পরের কোন এক সময়। আপনি হয়তো থাকবেন
বিচার দিবসে, আল্লাহর আদালতের কাঠগড়ায়, যেখানে কোন ব্যারিস্টার নেই,
উপদেষ্টা নেই, নেই কোন মিডিয়া, মানবাধিকার, শুধু থাকবে কঠোর কারাপ্রহরীর
দল। আর হ্যাঁ, প্রায়ই আল্লাহ আপনাকে তাঁর সাথে দেখা করাতে এবং নিজের
সম্পর্কে আপনাকে বলতে তাঁর কাছে নিয়ে যাবেন।
২)
দ্বিতীয় উপায়টি হচ্ছে আপনার নিজের অতীতে ফিরে যাওয়া, যতটা আপনার স্মৃতিতে কুলোয়। ফিরে যান পাঁচ বছর আগে, দশ বছর আগে অথবা তার কম কিংবা বেশি। ফিরে যান আপনার বিয়ের দিনে, গ্র্যাজুয়েশন প্রাপ্তির দিনে, অথবা সেই দিনে যেদিন আল্লাহ আপনাকে ইসলামের আলো দেখিয়েছেন। অথবা ঘুরে আসুন আপনার প্রথম সন্তান জন্মের দিনে, আপনার আনন্দের ও দুঃখের মূহুর্ত গুলোতে। কিন্তু অতীত নিয়ে আফসোস করবেন না, স্মৃতিচারণ করে কখনো বলবেন না, ”ইশ! যদি এমনটা হত”, আল্লাহ যা কিছু আপনার ভাগ্যে লিখে রেখেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন করবেন না।
৩)
তৃতীয় উপায় হচ্ছে আপনার ভবিষ্যতে চলে যাওয়া, কল্পনার অসীম জগতে বিচরণ করেই দেখুন না! ভাবুন আচ্ছা, কি হবে যদি আপনি আর কখনো জেল থেকে মুক্ত হতে না পারেন? যদি আগামীকালই মুক্তি পান তাহলে কি হবে? যদি আরো তিন বছর জেলে থাকতে হয় তাহলে কিভাবে কি করবেন? ভবিষ্যতের ভাবনা আপনাকে ক্ষণিকের জন্যে হলেও মুক্তির স্বাদ দেবে।
মূল লেখাঃ বাবর আহমেদ (একজন মুসলিম কারাবন্দি)
অনুবাদঃ Collected
২)
দ্বিতীয় উপায়টি হচ্ছে আপনার নিজের অতীতে ফিরে যাওয়া, যতটা আপনার স্মৃতিতে কুলোয়। ফিরে যান পাঁচ বছর আগে, দশ বছর আগে অথবা তার কম কিংবা বেশি। ফিরে যান আপনার বিয়ের দিনে, গ্র্যাজুয়েশন প্রাপ্তির দিনে, অথবা সেই দিনে যেদিন আল্লাহ আপনাকে ইসলামের আলো দেখিয়েছেন। অথবা ঘুরে আসুন আপনার প্রথম সন্তান জন্মের দিনে, আপনার আনন্দের ও দুঃখের মূহুর্ত গুলোতে। কিন্তু অতীত নিয়ে আফসোস করবেন না, স্মৃতিচারণ করে কখনো বলবেন না, ”ইশ! যদি এমনটা হত”, আল্লাহ যা কিছু আপনার ভাগ্যে লিখে রেখেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন করবেন না।
৩)
তৃতীয় উপায় হচ্ছে আপনার ভবিষ্যতে চলে যাওয়া, কল্পনার অসীম জগতে বিচরণ করেই দেখুন না! ভাবুন আচ্ছা, কি হবে যদি আপনি আর কখনো জেল থেকে মুক্ত হতে না পারেন? যদি আগামীকালই মুক্তি পান তাহলে কি হবে? যদি আরো তিন বছর জেলে থাকতে হয় তাহলে কিভাবে কি করবেন? ভবিষ্যতের ভাবনা আপনাকে ক্ষণিকের জন্যে হলেও মুক্তির স্বাদ দেবে।
মূল লেখাঃ বাবর আহমেদ (একজন মুসলিম কারাবন্দি)
অনুবাদঃ Collected