পৃষ্ঠাসমূহ

অনুপ্রেরণা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অনুপ্রেরণা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

একাকিত্বঃ একটি অভিশাপ এবং মুক্তির উপায়...



প্রশ্নঃ আমি মানুষের সাথে মেলামেশা সহ্য করতে পারিনা এবং একাকি থাকতে পছন্দ করি যখন আমি অন্যদের সাথে মেলামেশি করি তখন মনে হয় যেন চরম সঙ্কটপূর্ণ অবস্থায় আছি রাসূল (সঃ) আমাদের মসজিদে সালাত আদায় করার আদেশ দিয়েছেন আমার কি করা উচিত? মসজিদে প্রার্থনা করার চেয়ে না করাই আমার কাছে শ্রেয় হয়ে দাড়িয়েছে


উত্তরঃ সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের


প্রথমতঃ

যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে আপনি যাচ্ছেন এটা শুধু মাসজিদে সালাত আদায় করার ক্ষেত্রেই না বরং এটা আপনার অনান্য কর্মকান্ড করার সময়ও, যেগুলো আপনাকে বাসার বাইরে যেয়ে করতে হবে  যেমন; আপনার আত্নীয়দের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য, আপনার প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করতে, জ্ঞান অর্জন করার ক্ষেত্রে, সৎ কাজের আদেশ এবং অন্যায় কাজের নিষেধ করা এবং এই রকম আরো অনেক ক্ষেত্রে

আমাদের নারীগণঃ এই উম্মাহর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।


আল-ক্বুরআনে সুরা আল-ক্বাসাসে মুসা (আ) এবং ফিরআউনের মধ্যে বিরোধের বিষয়টা উঠে এসেছে এবং  এই বিরোধীতাকে কেন্দ্র করে যে আয়াত এসেছে তা হলোঃ 

আর  আমারা চেয়েছিলাম যাদের পৃথিবীতে দূর্বল করে বানানো হয়েছিল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতেএবং তাদেরকে নেতা ও উত্তরাধিকারী করতে - [আল-কাসাসঃ ০৫]
আর ক্ষমতার এই স্থানান্তর একজন নারীকে দিয়ে শুরু হয়েছিল, যেখানে আল্লাহ বলেছেন- 

আর আমরা মুসার মায়ের কাছে অনুপ্রেরণা দিলাম এই বলে একে দুগ্ধপান করাও; তারপর যখন তার সম্বন্ধে আশংকা করো তখন তাকে পানিতে ভাসিয়ে দাও, আর ভয় করো না, দুঃখও করো না নিঃসন্দেহে আমরা তাকে ফিরিয়ে দিব তোমার কাছে , আর তাকে গড়ে তুলবো রাসুলগণের একজন করে – [আল-কাসাসঃ ০৭]

সফলতার ইতিবৃত্ত।




প্রশ্নঃ কিভাবে একজন মানুষ এই দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা ও সমৃদ্ধি লাভ করতে পারে? ইসলাম উম্মাহকে এই দুনিয়ায় কি ধরণের সফলতা বা সমৃদ্ধি অর্জনের তাগিদ দেয়? 

উত্তরঃ সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য


অন্তরের প্রশান্তি, আত্মতৃপ্তি, সুখ এবং দুশ্চিন্তা অনিশ্চয়তাবোধ থেকে  মুক্তি ... এই বিষয়গুলো  প্রত্যেকেরই কাম্য আর এগুলোই মানুষকে একটি সুন্দর জীবন উপহার দেয় এবং সেই জীবন হয় সুখের, আনন্দের। এগুলো অর্জন করার কিছু ধর্মীয় পদ্ধতি আছে, আবার কিছু প্রাকৃতিক ও বাস্তবিক পদ্ধতিও আছে। কিন্তু একমাত্র ঈমানদার ছাড়া আর কেউই এগুলোর সন্নিবেশ করতে পারে না যদিও হয়তো অনেকে এগুলোর অনেক কিছুই অর্জন করতে পারে কিন্তু তারা একসাথে এ সব কিছু অর্জন করতে পারে না।
নিচে মানুষ যে লক্ষ্যকে উদ্দেশ্য করে জীবন সংগ্রামে রত তা অর্জনের কিছু পদ্ধতি দেয়া হলো; যারা এগুলোর বেশিরভাগই অর্জন করতে পারবে তারা একটি সুন্দর ও আনন্দময় জীবন গড়ে তুলতে পারবে। যারা এগুলোর একটিও অর্জন করতে পারবেনা তাদের জীবন দুঃখ ও কষ্টে ভরা জীবনে পরিণত হবে। আর এর মাঝামাঝি অবস্থানে থাকবে তারা, যারা সেই পরিমাণ সফল হবে, যতটুকু গুণ তারা অর্জন করতে পারবে পদ্ধতিগুলো হলোঃ

ইসলামঃ সত্য, সদগুণ এবং সৌন্দর্য



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম


সত্য, সদগুণ ও সৌন্দর্যের নীতি ইসলামে এদের অর্থ কি এবং কিভাবে এদের প্রাত্যহিক জীবনে অন্তর্ভুক্ত করে তোলা যায়।

নিশ্চিতভাবেই ইসলাম পরম সত্য, সদগুণ ও সৌন্দর্যের দ্বীন। অন্যান্য ধর্মসমূহ কিংবা জীবনদর্শনগুলোতেও হয়তো বা এইসব নীতি অন্তর্ভুক্ত আছে তবে কোনটিতেই সেগুলোকে ইসলামের মত এত সুন্দরভাবে সহাবস্থান করতে দেখা যায় না।

বিভিন্ন শিক্ষা বা সাহিত্যে মনোহর ভাষা ব্যবহার করে মিথ্যা দাবী করতে দেখা যায়, সচ্চরিত্রকে ছোট করতে দেখা যায় কিংবা বিভিন্ন সময়ে পাপাচারকে উতসাহিত করতেও দেখা যায়। তবে আমাদের দ্বীনে ব্যাপারটি তা নয়। ইসলামে দ্বীনের প্রচারের ক্ষেত্রে এই তিনটি নীতি সর্বদা কাজ করছে।

আমি কিভাবে ইসলামে প্রবেশ করলাম!



পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে শুরু করছি
          
আমার বাবা প্রচণ্ড ভাবে খ্রিষ্টিয়ানিটির প্রতি মনোনিবিষ্ট ছিলেন । আমি যখন ছোট শিশু ছিলাম তখন আমার বাবা আমাকে বাইবেল থেকে নবীদের গল্প শোনাতেন, এসব নবীদের গল্পের মধ্যে ছিল নবী ইব্রাহীম, মূসা, এবং ঈসা (আল্লাহ্‌ তাদের উপর শান্তি বর্ষণ করুন) এর গল্প । গল্প শুনতে শুনতে এসব নবীদের প্রতি ভালোবাসা এবং আমার বাবার প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ জন্মাতে শুরু করে । আমি যখন পরিণত বয়সে উপনীত হতে শুরু করলাম আমি আমার মনের ভিতর অস্থিরতা অনুভব করতাম। আমি সবসময়ই অনুভব করতাম আমার জীবনে কিছু একটা যেন অনুপস্থিত, কিন্তু কিসের অনুপস্থিতি তা বুঝতে পারতাম না । আমি সবসময় আমার নিষ্পাপ শিশুকালের সময়টাতে ফিরে যেতে চাইতাম, এভাবে যতই দিন যেতে লাগলো আমার পরিস্থিতি ততই খারাপ হতে লাগলো । আমার চরিত্রের একটা সংশোধন খুব প্রয়োজন ছিল কিন্তু সংশোধনটা কিভাবে হবে তা আমার জানা ছিল না ।

আমার দেখা আনোয়ার আল-আওলাকি (রাহিমাহুল্লাহ) [প্রথম পর্ব]...

শেইখ আনোয়ার বিন নাসের আল-আওলাকি'র (রহ) সাথে আমার প্রথম দেখা হয় বরকতময় ৯/১১ এর বেশ কয়েক বছর আগে । সেটা ছিল ইসলামী পুনর্জাগরণের একদল তরুণ কর্মী, দা'য়ী এবং শিক্ষকদেরকে নিয়ে আয়োজিত ইসলামিক কনফারেন্স । আল-আওলাকি কথা বলছিলেন আল্লাহ'র দিকে মানুষকে দাওয়াত দেয়ার গুরুত্ব এবং পদ্ধতি নিয়ে । তিনি কোন কাগুজে-পন্ডিতের মতো কথা বলছিলেন না বরং স্বীয় জ্ঞান আর প্রকৃত অনুশীলনের মিশ্রণে দাওয়াতকে আত্মস্থ করা এক বাস্তব দা'য়ীর মতোই কথা বলছিলেন । ফলে আগত দর্শকদের মাঝে তার বক্তব্যের প্রভাব পড়ল ব্যপক, সবাই তার ব্যক্তিত্বের প্রশংসা করছিল । তারপর, তিনি দূরে চলে গেলেন, ফিরে এলেন অনেক বছর পর - তবে এবার তার সাথে আমার বেশ গাঢ় একটা সখ্য তৈরি হল । আমরা প্রতিবেশী ছিলাম, একই মসজিদে নামায পড়তাম (আল-আনসার মসজিদ) । মাঝে মাঝে তিনি জুমা'র খুতবা দিতেন, মাঝে মাঝে আমি দিতাম । পরে তার বাসার ঠিক পাশেই আল-মুমিনীন মসজিদ তৈরি হয়, তিনি সেখানেই নামায পড়তেন এবং জুমা'র খুতবা দিতেন । সেখানে কয়েকবার বক্তব্য দেয়ার জন্যে আমাকে দাওয়াতও করেছেন তিনি ।

আমার দেখা আনোয়ার আল-আওলাকি (রাহিমাহুল্লাহ) [২য় পর্ব]...

দাওয়াত এবং প্রজ্ঞা
শেইখ আনোয়ার ছিলেন সাধারণ মানুষের বক্তা । তিনি ইংরেজীতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন এবং তার আরবী বক্তব্যগুলো বেশির ভাগ সময়ই সাধারণের জন্যে ছিল না । চিন্তা ও মতামতের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ওলামা-মাশায়েখ, তালেবুল-ইলম এবং দায়ী'দের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি ছিল তার । কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন পরিবর্তনের কান্ডারী তাদেরকেই হতে হবে, তাদের একজনের সঠিক পথ পুরো গোষ্ঠীকে সঠিক পথে আনতে সক্ষম । ঠিক একারণেই তার বেশির ভাগ দাওয়াতী কর্মকান্ড ছিল ব্যক্তিগত ভাবে বিভিন্ন ওলামা-মাশায়েখ, দায়ী', গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের সাথে দেখা করা অথবা তালেবুল-ইলমদের জমায়েতে শরীক হওয়া ইত্যাদিকে ঘিরে । শেইখের সাপ্তাহিক তালিমে নিয়মিতই বেশ কয়েক ডজন তালেবুল-ইলম অংশ নিত । অনেক সময় এই সংখ্যা শ' ছাড়িয়ে যেত । সত্যি বলতে, পশ্চিমা ইংরেজী-ভাষী মুসলিমদের কাছে তার দাওয়াত যেভাবে সাড়া ফেলেছে সেটা আরব-উপদ্বীপের তুলনায় অতুলনীয় । নিঃসন্দেহে শেইখ আনোয়ার, আল্লাহ তার ওপর রহমত বর্ষণ করুন, ছিলেন ইংরেজী ভাষায় ইসলামের দায়ী'দের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের কাতারে ।

আমার দেখা আনোয়ার আল-আওলাকি (রাহিমাহুল্লাহ) [৩য় পর্ব]...

কঠিন পরীক্ষার সামনে অবিচল
দ্বীধাহীন সত্য প্রচার এবং শরীয়াহ'কে সামগ্রিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্যে জীবনে অনেক মূল্য দিতে হয়, আর এই মূল্য হচ্ছে ত্যাগ । প্রত্যেক দায়ী'কেই পরীক্ষার সম্মুখীন হয়ে প্রমাণ করতে হয় তার দাওয়াতের সত্যতা । মহান আল্লাহ বলেন,
 
" আলিফ, লাম, মীম । মানুষ কি ধারণা করে যে, তারা পরীক্ষা ছাড়াই ঈমান আনলাম বললেই পার পেয়ে যাবে ? নিশ্চই আমি পূর্ববর্তীদেরকেও পরীক্ষা করেছি; আল্লাহ অবশ্যই প্রকাশ করে দেবেন যারা সত্যবাদী তাদেরকে এবং যারা মিথ্যাবাদী তাদেরকে । পাপীরা কি মনে করে যে, তারা আমাকে ত্যাগ করে চলে যাবে ? তাদের এধরনের সিদ্ধান্ত কতই না খারাপ । যারা আল্লাহ'র সাথে সাক্ষাতকামী তারা জেনে রাখুক, আল্লাহ'র সেই নির্দিষ্টকাল অবশ্যই আসবে; তিনি সবকিছু শোনেন, সবকিছু জানেন । আর যে ব্যাক্তি পরিশ্রম করে সে তো নিজের জন্যেই পরিশ্রম করে, আল্লাহ বিশ্ববাসি হতে অমুখাপেক্ষী ।”  [সুরা আল-আনকাবুত(২৯):১-৬]

“তিনটি বাড়ী এবং একজন চোর”

ইবনে কাইয়্যিম (রহঃ) তাঁর “আল ওয়াবিলু সাইয়িব” বই এ বেশ চমৎকার একটা কথা বলেন ।
 
.........প্রকৃতপক্ষে একজন বান্দা সালাতে খুশু বৃদ্ধি করতে পারবে যদি সে তার ইচ্ছা আকাংখা এবং প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । কিন্তু সে যদি প্রবৃত্তির দাশ হয়ে পড়ে এবং শয়তান তার অন্তরে বাসা বাঁধে তাহলে সে কি করে সালাতের সময় শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেকে রক্ষা করে সালাতে মনোযোগ দিবে?
 
মানুষের অন্তর সাধারনত তিন ধরনের হয় ।

"আমার ঈমান কি আমার কাছে ফিরে আসবে?"



প্রশ্নঃ কিছু বছর ধরে আমি ইসলাম পালন করে আসছিলাম কিন্তু কয়েক মাস ধরে আমি অনুভব করছি যে আমার হৃদয় ও অন্তরে ঈমান ও আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নেই বললেই চলে। এই বিষয়টা আমাকে পীড়িত করছে এবং আমি নিজেকে বললাম যে সম্ভবতঃ এটা শয়তানের ধোঁকা অথবা এইরকম কোন কিছুর কারনে হয়েছে এবং রমাদান আসলে এটা চলে যাবে। কিন্তু এটা চলে যায় নি এবং আমি দেখছি যে আমার কিয়ামুল লাইল (রাত্রিকালীন সালাত) আদায় করতে কষ্ট হচ্ছে। এই ওয়াসওয়াসা (কুমন্ত্রণা) সত্ত্বেও আমি অধিক কুরআন পড়তে চেষ্টা করেছি এবং এই কুমন্ত্রণা আমার ক্ষতি করে চলছে। আমার অবস্থা আমাকে সামাজিকভাবে, কর্মক্ষেত্রে, পরিবারে এবং আমার দ্বীনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই কারনে আমি নিদারুন কষ্টের মধ্যে আছি এবং আমার ঈমানকে খুঁজে পাচ্ছি না, যেন তা আমার থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে যে আমার একটা খারাপ সমাপ্তি হবে এবং আমার ঈমান আর কখনো ফিরে আসবে না এবং আমার হৃদয়ে মোহর মেরে দেওয়া হয়েছে। আমি মসজিদে সালাত আদায় ছাড়িনি – কিন্তু যখনই আমি মসজিদে যাই, আমার মনে হয় যে আমি অন্য ইবাদতকারীদের মত নই এবং আমি তাদের ঈমানের কারনে তাদেরকে ঈর্ষা করি। আমার আরো মনে হয় যে আমার দ্বীন আমার থেকে চলে গিয়েছে এবং খুব কষ্ট করা ছাড়া আমার কুরআন অথবা হাদীস অথবা আলেমদের লেকচার টেপ শোনা হয় না। আমি আগের মত হতে চাই, একজন মুমিন যে দ্বীনকে ভালবাসে কারণ তা সত্য দ্বীন কিন্তু আমার মনে হচ্ছে যে আমি আমার অন্তর অথবা আমার অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। আমি আমার গুনাহ সম্পর্কে চিন্তা করা শুরু করেছি যেটি আমার বিশ্বাস যে আমার এই অবস্থার কারণ এবং আমি অনেক গুনাহের কথা মনে করতে পারছি যেগুলো আমি ভুলে গিয়েছিলাম, যেন তারা একের পর এক আমার সামনে আসছে। এখন পর্যন্ত আমি এইরকম কষ্ট, দুর্দশা ও যন্ত্রনার মধ্যে আছি। আমি জানিনা আমার কি হয়েছে এবং এর প্রতিকার ও সমাধান কি। , নাকি এটা হবে একটা খারাপ সমাপ্তি এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তি? সবশেষে, অনুগ্রহ করে আমার জন্য দুয়া করতে ভুলবেন না।

“তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর”





আল্লাহ সুবহানা ওয়াতাআলা, যিনি সর্বশক্তিমান, বলেন,

"পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।" (আল-বাকারা ২: ২১৬)


কুরআনের এই আয়াত বান্দার জন্যে বেশ বিবেচনাপূর্ণ, অর্থবহ এবং এতে বান্দার জন্য উপকারিতা রয়েছে । বান্দা যখন অনুধাবন করে যে দুর্ভাগ্য থেকে তার কোন আকাঙ্ক্ষিত বস্তু আসতে পারে , আবার তার আকাঙ্ক্ষিত বস্তু থেকে কোন দুর্ভাগ্য জন্ম নিতে পারে, তখন কোন আনন্দের উপলক্ষ থেকে যে বিপদের সুত্রপাত হতে পারে  এই অনিশ্চয়তা থেকে সে নিরাপদ অনুভব করবে না, একই সাথে কোন বিপদ থেকে যে আনন্দের উপলক্ষ আসতে পারে সেই আশাও সে হারাবে না । নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ সুবহানাওয়াতাআলা তা জানেন যা বান্দা জানে না আর এই পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই লক্ষ্য রাখা উচিত

মাঃ বীর তৈরির কারিগর


পরম করুনাময়, দয়ালু আল্লাহর নামে।

“... একটি প্রজন্ম গঠনে মায়ের ভুমিকা অনেক । সন্তান পালনে মা যত ভাল হবে, উম্মাহ তত সফলভাবে তৈরি হবে । আর ততই ভাল বীর তৈরি হবে । আপনি এমন কোন মহান লোক পাবেন না যেখানে তার পেছনে একজন মহান নারীর অবদান নেই, যার ব্যক্তিত্বে তার মায়ের কিছু বৈশিষ্ট্যের ছাপ থেকে যায় তার দুধপান ও তার উষ্ণতার বন্ধনে আশ্রয় নেয়ার মাধ্যমে

বেশিরভাগ মানুষই তার মায়ের সাথে থাকা সেই উজ্জ্বল স্মৃতিগুলো মন থেকে মুছে ফেলতে পারে না শিরায় শিরায় প্রবাহিত ছোটবেলার সেসব অসাধারন স্মৃতি তার মনে গভীর দাগ কাটে এবং সেসব সে গভীর শ্রদ্ধা ও গর্বভরে স্মরণ করে সে তার মায়ের সরল সহজ কথাগুলো স্মরণ করে যা তার উদ্দেশ্য অর্জনের পথে মাইলফলক ও পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে

মুসলিম সভ্যতা পিছিয়ে পড়েছে কেন?



প্রশ্নঃ আজকের যুগে আমরা দেখতে পাই যে পাশ্চাত্য আমাদের থেকে অনেক বিষয়েই বেশ এগিয়ে গেছে, কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেনঃ “হে বানী ইসরাইল! আমি তোমাদেরকে যে নিয়ামত দান করেছি তা স্মরণ কর এবং নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে সমগ্র পৃথিবীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি” [আল-বাক্বারা ২:৪৭]। আল্লাহ রব্বুল ‘আলামীন ইয়াকুব (আঃ)-এর বংশধরদের উপর এই যে রহমত বর্ষণ করলেন তা কি আমাদের এই যুগে রহিত হয়ে গেছে নাকি তা পুনরুত্থান দিবসের আগ পর্যন্তই চলবে? যদি রহিত হয়ে গিয়ে থাকে তবে কেন পশ্চিমারা আজ আমাদের থেকে এত বেশি এগিয়ে? আমাদের আরবদের কোন যোগ্যতাটার অভাব? চিন্তা, আবিষ্কার ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের থেকে এগিয়ে যেতে কীসে আমাদের ঠেকিয়ে রেখেছে

বিভক্তি ও ঐক্যের মূলনীতিঃ কারণ ও ফলাফল


আল্লাহ বলেন যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল তারা মতভেদ করেছিল শুধুমাত্র পারস্পারিক হিংসা ও বিদ্বেষের কারণে, তাদের নিকট সুস্পষ্ট জ্ঞান আসার পরেও এখানে বলা হচ্ছে যে তারা মতভেদ করে ছিল তাদের নিকট এই জ্ঞান আসার পরেই যে, তাদের কি করা উচিত বা কি এড়িয়ে চলা উচিত। বস্তুত আল্লাহ কাউকে বিপথগামী করেন না যতক্ষন না তাকে সুস্পষ্টভাবে বলে দেন তার কি করা উচিত। এখানে বলা হয়েছে যে, তারা মতভেদ করেছিল শুধু মাত্র হিংসা-বিদ্বেষের কারণে। আল-বাগীমানে হল সীমালঙ্ঘন করা, এ ব্যাপারে ইবন উমার রাযিঃ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, “হিংসা ও ঔদ্ধত্ত্বতখনই শুরু হয় যখন ইজতিহাদ হয় ইলম ব্যতীত। কোন স্বীকৃত মতভেদকে আল-বাগী বলেনা যা সাধারণত দুজন স্কলারের মাঝে হয়ে থাকে। আল-বাগী মানে হল প্রত্যাখ্যান করা বা সত্যকে অস্বীকার করা বা সীমালঙ্ঘন করা। আর সীমালঙ্ঘন করা হয় সাধারণত কোন আবশ্যকীয় কাজকে বাদ দেয়ার মাধ্যমে বা কোন নিষিদ্ধ কাজ করার মাধ্যমে।আর এটা জানা কথা যে এই গুলোর ফলেই বিভক্তি ও অনৈক্য শুরু হয়।

সহজ আমল, অধিক পুরষ্কার।

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
তাদের জন্য কত বড় পরিতাপের বিষয় যারা সুযোগকে নষ্ট করে!
) আত্নীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করাঃযে ব্যক্তি আশা করে যে তার রিযিক বৃদ্ধি পাক এবং তার জীবন দীর্ঘ হোক, সে যেন তার আত্নীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।”(আল-বুখারি এবং মুসলিম)


) মহান দুই হারামে(মক্কা এবং মদিনা)বেশি বেশি সালাত আদায় করাঃআমার মসজিদে সালাত পড়া অন্য যেকোন মসজিদে হাজার বার সালাত পড়ার চেয়ে উত্তম, তবে মসজিদুল হারাম(মক্কা) ব্যতিত, এবং মসজিদুল হারামে সালাত পড়া অন্য যেকোন মসজিদে একলক্ষ বার সালাত পড়ার চেয়ে উত্তম।”(আহমদ এবং ইবনে মাজাহ)

কার কাছ থেকে দীন শিখছেন সে ব্যাপারে সতর্ক হন।


অনেকেই প্রশ্ন করেন, “কোনো ‘আলিম—যিনি অনেক জানেন, কিন্তু তার মধ্যে হয়তো সেই পরিমাণ চর্চা নেই—সে কী করছে না করছে এত কিছু না-ভেবে শুধু দীন শেখার উদ্দেশ্যে তাঁর কাছে গেলে ক্ষতি কী?”

আপাতদৃষ্টিতে প্রশ্নটি যুক্তিসঙ্গত মনে হলেও, নিজেকে একবার জিজ্ঞেস করে দেখুন তো, “আমি কি এমন কারও কাছ থেকে বিমান ওড়ানো শিখব, যে কিনা বিমান সম্বন্ধে সবকিছুই জানে, অথচ কখনো কোনো বিমান ওড়ায়নি?”

আসলে সমস্যাটা হচ্ছে ইসলামের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে। ইসলাম কোনো মতবাদ বা কারও ব্যক্তিগত ভাবাদর্শ নয়। ইসলামের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে একে মতবাদের স্তরে নামিয়ে এনে। আর দশটা মতবাদ আর দর্শন যেভাবে শিখি ইসলামকেও আজ আমরা সেভাবে শিখছি। আমরা ইসলামের মূলনীতিগুলো শিখি, আইনের জটিল খুঁটিনাটি বিষয়গুলো শিখি, এটা ওটার মানে শিখি―কিন্তু যা শিখেছি সেটা চর্চা করার কোনো প্রয়োজন দেখি না। এটাই কি পূর্বসূরি-সালাফদের নীতি?

ফল হাতে প্রবেশ নিষেধ!

কিছুদিন আগে একটা চিঠি পেলাম। লেখক চিঠিতে নিজের জীবনে যেসব দুঃখ-দুর্দশার মুখোমুখি হচ্ছেন, এবং যেগুলো তার কাছে মনে হচ্ছে অন্তহীন, সেগুলো নিয়ে তার অসন্তোষ প্রকাশ করছিলেন। চিঠিতে একটা লাইন ছিলোঃ

 “আমি ক্রুদ্ধ ... কেন আল্লাহ্‌ আমার দু’আ শুনছেন না? কেন?”

তার চিঠিটা পড়ার পর, সিদ্ধান্ত নিলাম তার জবাব হিসেবে এই লেখাটা লেখার। দুঃখজনক হলেও সত্যি এধরনের প্রতিক্রিয়া আমাদের মধ্যে খুবই প্রচলিত। এবং এরকম হওয়ার কারণ হলো, দু’আ (আল্লাহ্‌র কাছে কোন কিছু চাওয়া) কীভাবে কাজ করে সেই সম্পর্কে আমাদের মারাত্মক ভুল ধারণা রয়েছে।

অপ্রিয় সত্য ..

 শাইখ আবদুল্লাহ আযযামের নাসীহা 

" একাকী বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। তাই তোমরা কখনো একা থেকো না, কখনো দলছুট হয়ে যেও না। শেয়ালকে দেখেছো? সে কিন্তু দলছুট ভেড়াটিকেই নিজের খাদ্য বানায়। শয়তানও সেরকম, যে দু'জন লোক একসাথে থাকে, তাদের তুলনায় সে একাকী ব্যক্তির অধিক কাছাকাছি থাকে। তাই তুমি যেখানেই থাকো, অন্তত একজন লোককে নিজের সঙ্গী বানিয়ে নাও আর খেয়াল রেখো এই ব্যক্তিটি যেন অবশ্যই পরহেজগার হয়।

কখনও ঝরে যেও না ...

তারিক মেহান্না-এটি মুখে মুখে উচ্চারিত কোন নাম নয়। সঙ্গীততারকা, অভিনেতা-অভিনেত্রী আর ক্রীড়াবিদদের ভিড়ে এ নামটি হয়তো আপনার চোখে পড়ে নি। যারা তার সম্বন্ধে সামান্য জানেন, তারা জানেন, এই মানুষটি নব্য ফির'আউনের কারাগারের ভেতরে বসে অভূতপূর্ব এমন অনেককিছু লিখেছেন, আমরা "সুস্থ-স্বাভাবিক sane" মুসলিমরা জেলের বাইরে বসে সেগুলো ভেবেও দেখি নি !

তার এমন একটা লেখা হচ্ছে Never Shed Your Leaves. এই লেখাটিই বলে দিবে, তারিক মেহান্না আর দশটা মুসলিমের মত নন, তিনি তাদের মধ্যে একজন যাদেরকে আল্লাহ তার দ্বীনের understanding দিয়েছেন। ইসলামের সাথে খুব স্বল্প সংখ্যক মানুষই পারে বাস্তবতাকে relate করে তুলতে, তারিক মেহান্না তাদের একজন। আল্লাহ  আমাদের এই ভাইটির মুক্তি তরান্বিত করুন এবং তার জ্ঞান থেকে মুসলিম উম্মাহর উপকৃত হবার সুযোগ তৈরি করে দিন। আমীন। 

পতাকা তুলে নাও ...

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 

জীবনে চলার পথে আমরা নানান ধরনের মানুষের সাথে পরিচিত হই। তবে আমরা আমাদের পছন্দসই শ্রেণীর সাথেই বন্ধুত্ব গড়ে তুলি।  তাদেরকে নিয়ে,তাদেরকে ঘিরে আমাদের জীবন সাজাই। তাই কুরআন খুললে আপনি দেখতে পাবেন আল্লাহ্‌ আপনাকে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। আমরা যেন এইসব শ্রেণীর কার্যক্রম এবং পরিণতি দেখে সঠিক শ্রেণীটির অংশ হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারি সেজন্য  কুরআনে আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বিভিন্ন ধরনের, বিভিন্ন স্বভাবের মানুষের বৈশিষ্ট্য আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। এর উদাহরণ হিসাবে আমরা দেখতে পাইঃ