মুসলিমদের হৃদয়ে সিরিয়ার জন্য একটি বিশেষ স্থান
রয়েছে, আর কেন-ই বা থাকবে না যখন
স্বয়ং আল্লাহ এই ভূমিকে এমন সমস্ত গুনে গুণান্বিত করেছেন এবং এমন উঁচু মর্যাদায়
অধিষ্ঠিত করেছেন, যা অন্য কোন ভূমিকে
করেন নি। সিরিয়ার অতীত ইতিহাস এই ইলাহি ফয়সালার স্বাক্ষর বহন করে। আমাদের বিশ্বাস, ভবিষ্যতেও করবে। সিরিয়ার ফযীলত বর্ণনা করে ও সেখানে বসবাস
করার উৎসাহ প্রদান করে বহু হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিরিয়ার জন্য বিশেষ বরকতের দু’আ করেছেন। সিরিয়া এমন এক ভূমি যা হাজারো নবীর পদস্পর্শে ধন্য হয়েছে। এটা সেই
ভূমি যেখানে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মি’রাজের রাত্রিতে সফর করেছিলেন। আর কিয়ামতের পূর্বে এখানেই
মুমিনদের সেনাবাহিনীর হেড-কোয়ার্টার অবস্থিত হবে। সমস্ত উম্মাহ যখন ফিতনায়
আক্রান্ত থাকে, তখনও সিরিয়ার ভূমি ঈমানের
সতেজতায় সজীব থাকে।
মুসলিম উম্মাহ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মুসলিম উম্মাহ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সততার অধিকারীদের জন্যে ত্যাগ তিতিক্ষা সহজ। [পর্ব ৩]
হে লেবাননের সুন্নীগণ...(৪র্থ বিভাগ)
শাম এর ভাইদের অনুসরণ করুনঃ
শামের ভাইদের পথ অনুসরণ করার সময়টি আপনাদের নিকটে চলে এসেছে, এবং আপনাদের শত্রু হিযবুশ শাইত্বান(হেযবুল্লাহ) এর বিপক্ষে
শক্ত অবস্থান নেয়ার সময় হয়ে গেছে, যারা রাত-দিন আপনাদের
বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। যারা হত্যা করেছে নিষ্পাপ শিশুদের, হত্যা করেছে শামের সুন্নী মা-বোনদের এবং বৃদ্ধদের। লেবানন ও
যদি একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, তখন এরাও সুন্নীদের
উপর অত্যাচার করার এই সুযোগটি হাতছাড়া করবে না।
সততার অধিকারীদের জন্যে ত্যাগ তিতিক্ষা সহজ। [পর্ব ২]
শামে আমাদের ভাইদের প্রতিঃ (বিভাগ ৩)
মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আপনাদের ধৈর্য ও প্রতিরোধ এবং বাশার গং এর বিরুদ্ধে
আপনাদের প্রতিরোধশক্তি দ্বারা এ বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে গেছে।তিন বছর যাবত, আপনাদের উপর বোমাবর্ষণ হচ্ছে, আপনাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস
হচ্ছে এবং আপনাদের সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে; তবু ও আপনারা যুদ্ধে শত্রুদের প্রচণ্ডভাবে ধরাশায়ী করে যাচ্ছেন। আপনারা তাদেরকে আহল আস-সুন্নাহর বিরুদ্ধে সীমালঙ্ঘনের মূল্য তাদের শিক্ষা দিয়ে
যাচ্ছেন; আপনারা ইতিহাসের পাতায় এক
উজ্জ্বল ছবি এঁকে দিয়েছেন যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্মরণে রাখবে । আপনারা একটি যুদ্ধের বোঝা বহন করে আসছেন;
যা
পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের মানুষদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হলে তারা এর ভারে ঢলে পড়ত; এটা আপনাদের ধৈর্য আর সম্ভাবনাকেই বৃদ্ধি করেছে।
আর এই ক্রুসেডর জোট চায় ...
সততার অধিকারীদের জন্যে ত্যাগ তিতিক্ষা সহজ। [পর্ব ১]
দয়াময়,পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে
সকল প্রশংসা আল্লাহর। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম ও তার সাহাবাগণের
প্রতি সালাত ও সালাম পেশ করছি। অতঃপর ,
জাতিসংঘের পতাকাতলে শামের মুসলিমদের বিরুদ্ধে চলমান ক্রুসেডের প্রেক্ষিতে, -পদক্ষেপ নেয়া,
-মুসলিমদের
উপদেশ দেওয়া ও কুফফারদের সতর্ক করা দরকার এবং আমরা বলি সকল ক্ষমতা আল্লাহরইঃ
একজন সিরিয়ান ভাই...
এইমাত্র আমি এক সিরিয়ান
ভাইয়ের সাথে কথা বললাম, যে গত ১৩ বছর ধরে গুয়েন্তানামো কারাগারে বন্দি ছিল । আমি
তাকে শেষ দেখেছিলাম বাগরামে ২০০২ সালে, যখন আমেরিকান সৈন্যরা তাকে মারছিল এবং টেনে
হেঁচড়ে একটি কক্ষে নিয়ে যাচ্ছিল । এত দীর্ঘ সময় কারাগারে থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোন
অভিযোগ তারা গঠন করতে পারেনি এমনকি ২০০৬ সালে তাকে মুক্তি বা অন্যত্র স্থান্তরের
ছাড়পত্র দেয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি । এতগুলো বছর পর তার চেহারা দেখে
প্রত্যাশিতভাবেই যেন এক অপরিচিত, সম্পূর্ণ ভিন্ন একজন মানুষকে দেখলাম । সত্যি কথা হচ্ছে একজন ভিন্ন মানুষকে দেখাইতো স্বাভাবিক
কারন, অত্যাচারের কষ্ট এবং জোর করে অনশন
ভাঙ্গানোর সময়ের অকথ্য ভাষার গালি তাকে এতগুলো বছর সহ্য করতে হয়েছে ।
আমাদের মুসলিম বোনেরা ফিলিস্তিনের জন্য যা করতে পারেন!
প্রশ্নঃ স্বৈরাচারী,প্রতারক
বিশ্বাসঘাতক ইহুদীদের (আল্লাহ্ তাঁদের ধ্বংস করুক) বিরুদ্ধে সংগ্রামরত
ফিলিস্তিনী মা বোনদের করুন অবস্থা আমাদের ব্যথিত করবে না তা কি করে হয়?
পবিত্র ভূমির এই সব মা বোনদের ওপর নিয়মিত চলছে অত্যাচার, নির্যাতনের স্টীম
রোলার । এতকিছুর পরেও ইসলাম ও মুসলিমদের চিরশত্রু ইহুদীদের বিরুদ্ধে
যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনে তাঁদের উপস্থিতি যেমন সরব, তেমনি তাঁরা এমন একটা
প্রজন্ম গড়ে তুলছেন যারা জানে কিভাবে অস্ত্র দিয়ে অত্যাচারের জবাব দিতে
হয় । নির্যাতিত এইসব মা বোনদের প্রতি আমাদের কি কোন কর্তব্য নেই ? কিভাবে
আমাদের সবটুকু সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে নিয়ে আমরা তাঁদের পাশে দাঁড়াবো,
কিভাবে তাঁদের সাহায্য করব ? এবং মহিমান্বিত আল্লাহই একমাত্র সাহায্যকারী
.........
একটি ক্ষয়িষ্ণু ব্যবস্থাকে 'ইসলামিক' করার প্রচেষ্টা? (১ম পর্ব)
বর্তমানে আমরা একটি যুগের ক্রান্তিকাল পার করছি। যেকোনো যুগের শেষে,
ভবিষ্যৎ হয় সাধারণত অস্পষ্ট ও কুয়াশাচ্ছন। যদিও এই অস্পষ্টতার মধ্য দিয়েই
একটি বিষয় সোজাসুজিভাবেই বলে দেওয়া যায় যে পুঁজিবাদ আর বেশি সময় ধরে
পৃথিবীতে তার গতি ধরে রাখতে পারবেন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের ফলস্বরুপ,
পুঁজিবাদী ব্যবস্থা তার অন্তিম মুহুর্তে পৌছে গিয়েছে।
পুঁজিবাদের
মুল কথা হচ্ছে, পুঁজিবাদী ব্যবস্থা একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তিসাতন্ত্রবাদ
,একটি সমাজ বা একটি রাষ্ট্র যার পিছনে শুধুমাত্র পুঁজি আহরনের নিমিত্তেই
পুঁজি আহরন করার "প্রজ্ঞা' কাজ করে। একজন ব্যক্তি যিনি এই ভিত্তির উপর
নিজের কর্মসমুহকে ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করে, পৃথিবীতে মানুষের ছলনাময়
কত্রিত্বকে প্রতিষ্ঠা করার অনুষন্ধান এ ব্যস্ত থাকে,তিনিই মুলত একজন
পুঁজিবাদী।
বিস্মৃতির গহ্বরে পূর্ব তুর্কিস্তান...
পূর্ব তুর্কিস্তান সম্পর্কে ১০টি বাস্তব তথ্য আপনার জানা আছে কি?
(১) ঐতিহাসিকভাবে পূর্ব তুর্কিস্তান কখনোই চীনের অংশ ছিল না। বরং এই ভূমিকে 'হান' চীনারা (হান : চীনাদের একটি জাতিভেদ) উপনিবেশে পরিণত করেছিল, যেমনি ভাবে ব্রিটিশরা আমাদের উপমহাদেশকে উপনিবেশে পরিণত করেছিল। এই ভূমির অবস্থান চীনের মহা প্রাচীরের বাইরে। আমরা জানি, চীনের মহা প্রাচীর ছিল চীনের সীমানা নির্ধারক স্থাপনা যা বহিঃশত্রুদের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে চীনারা নির্মাণ করেছিল। পূর্ব তুর্কিস্তান যেমনি চীনের প্রাচীরের বাইরে, ঠিক তেমনি Jade Gate (জেড ফটক) এর পশ্চিমে। সুতরাং ইতিহাস সাক্ষী, কস্মিনকালেও পূর্ব তুর্কিস্তান চীনের অংশ ছিল না। তাই, শুধুমাত্র পূর্ব তুর্কিস্তান নাম পরিবর্তন করে যিনজিয়াং/ সিংকিয়াং (অর্থ- নতুন রাজ্য) রাখলেই অতীত ইতিহাস বদলে যাবে না।
(১) ঐতিহাসিকভাবে পূর্ব তুর্কিস্তান কখনোই চীনের অংশ ছিল না। বরং এই ভূমিকে 'হান' চীনারা (হান : চীনাদের একটি জাতিভেদ) উপনিবেশে পরিণত করেছিল, যেমনি ভাবে ব্রিটিশরা আমাদের উপমহাদেশকে উপনিবেশে পরিণত করেছিল। এই ভূমির অবস্থান চীনের মহা প্রাচীরের বাইরে। আমরা জানি, চীনের মহা প্রাচীর ছিল চীনের সীমানা নির্ধারক স্থাপনা যা বহিঃশত্রুদের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে চীনারা নির্মাণ করেছিল। পূর্ব তুর্কিস্তান যেমনি চীনের প্রাচীরের বাইরে, ঠিক তেমনি Jade Gate (জেড ফটক) এর পশ্চিমে। সুতরাং ইতিহাস সাক্ষী, কস্মিনকালেও পূর্ব তুর্কিস্তান চীনের অংশ ছিল না। তাই, শুধুমাত্র পূর্ব তুর্কিস্তান নাম পরিবর্তন করে যিনজিয়াং/ সিংকিয়াং (অর্থ- নতুন রাজ্য) রাখলেই অতীত ইতিহাস বদলে যাবে না।
পরভূমে...
২০১২ সালের বসন্তকাল। দক্ষিণ
ওয়াজিরিস্তানের দত্তখেলের নিকটবর্তী দোগা গ্রামের একটি শান্ত উষ্ণ বিকাল।
মেইনরোড থেকে সেনাবাহিনীর দ্রুতগামী গাড়িগুলোর আওয়াজে নিরবতা ভেঙ্গে গেল।
মিনিট খানেকের মধ্যেই একটি বেষ্টনী গ্রামটিকে ঘিরে ফেললো। তাদের
লক্ষ্যবস্তু ছিল মধ্যখেল ট্রাইব থেকে একজন ওয়াজিরির বাসগৃহ যিনি
প্রতিবেশীদেশ আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িত আছেন
বলে জানা গেছে। কেউ জানে না কেন সেনাবাহিনী তাঁর সাথে যুদ্ধ করতে যাচ্ছে।
বিভক্তি ও ঐক্যের মূলনীতিঃ কারণ ও ফলাফল
আল্লাহ বলেন “যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল তারা
মতভেদ করেছিল শুধুমাত্র পারস্পারিক হিংসা ও বিদ্বেষের কারণে, তাদের নিকট সুস্পষ্ট জ্ঞান আসার পরেও”। এখানে বলা হচ্ছে যে তারা মতভেদ করে ছিল তাদের নিকট এই জ্ঞান আসার পরেই যে, তাদের কি করা উচিত বা কি এড়িয়ে চলা
উচিত। বস্তুত আল্লাহ কাউকে বিপথগামী করেন না যতক্ষন না তাকে সুস্পষ্টভাবে বলে দেন
তার কি করা উচিত। এখানে বলা হয়েছে যে, তারা মতভেদ করেছিল
শুধু মাত্র হিংসা-বিদ্বেষের কারণে। “আল-বাগী” মানে হল সীমালঙ্ঘন করা, এ ব্যাপারে ইবন উমার
রাযিঃ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, “হিংসা ও ঔদ্ধত্ত্ব”
তখনই শুরু হয় যখন ইজতিহাদ হয় ইলম ব্যতীত। কোন স্বীকৃত মতভেদকে
আল-বাগী বলেনা যা সাধারণত দুজন স্কলারের মাঝে হয়ে থাকে। আল-বাগী মানে হল
প্রত্যাখ্যান করা বা সত্যকে অস্বীকার করা বা সীমালঙ্ঘন করা। আর সীমালঙ্ঘন করা হয়
সাধারণত কোন আবশ্যকীয় কাজকে বাদ দেয়ার মাধ্যমে বা কোন নিষিদ্ধ কাজ করার মাধ্যমে।আর
এটা জানা কথা যে এই গুলোর ফলেই বিভক্তি ও অনৈক্য শুরু হয়।
একজন ড্রোন অপারেটরের জবানবন্দি: মৃত শিশুদের কুকুর হিসেবে রেকর্ড করতে বলা হয়
নেভাদা মরুভূমির একটি গোপনীয় চেম্বার। মনিটরে চোখ রেখে বসে আছে ফার্স্ট
ক্লাস এয়ারম্যান ব্রেন্ডন ব্রায়ান্ট। মনিটরে তিনটি সাদা অবয়ব দেখা যাচ্ছে। ঐ
তিনটি অবয়ব আসলে তিনজন আফগান, যারা আফগানিস্তানের একটি রাস্তা ধরে হেঁটে
যাচ্ছিল। ব্রেন্ডন তাদের সম্পর্কে কিছুই জানে না। তাদের চলার উদ্দেশ্য,
তাদের জীবনের কোন ঘটনা, এমনকি তাদের নামটি পর্যন্ত নয়। তাকে শুধু বলা
হয়েছে, তারা রাইফেল বহন করছে। রহস্যময় চেইন অব কমান্ড থেকে হেডফোনে ভেসে
আসা কন্ঠ তাকে বাটন চাপতে নির্দেশ দেয়। তিন... দুই... এক।
৭৫০০
মাইল দূরে, একটি Hellfire মিসাইল সক্রিয় হয়ে উঠে। শব্দের গতিতে ছুটতে
থাকে লক্ষ্যবস্তুর দিকে। ব্রেন্ডনের স্ক্রিন কয়েক মুহূর্তের জন্য সাদা হয়ে
যায়।
অন্ধকূপের রাজকন্যারা: ইরাকে মুসলিম বন্দিনীদের নির্যাতনের ভয়াবহতা
রূপকথায় অন্ধকূপের কথা আমরা সবাই শুনেছি। কিন্ত এই বাস্তব পৃথিবীতেই কিছু অন্ধকূপ আছে, যেখানে বন্দি মুসলিম রাজকন্যারা। ভুল দেখেননি, মুসলিম নারীদের আমরা রাজকন্যার মতই সম্মান করি, আগলে রাখি। এটি সেইসব রাজকন্যাদের দূর্দশার করুণ গল্প।
ইরাকে মুসলিম নারীদের গ্রেফতারের পর সাধারণত তিনটি জঘন্য পর্যায় অতিক্রম করতে হয়। অপমান, নির্যাতন এবং সর্বশেষ ধর্ষণ।
আল-কাদিমিয়া কারাগারের একজন দক্ষ সামাজিক কর্মী এবং তিনজন ন্যাশনাল গার্ডের বর্ণনা অনুসারে প্রক্রিয়াটি হলো এরকম –
পতাকা তুলে নাও ...
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জীবনে চলার পথে আমরা নানান ধরনের মানুষের সাথে পরিচিত হই। তবে আমরা আমাদের পছন্দসই শ্রেণীর সাথেই বন্ধুত্ব গড়ে তুলি। তাদেরকে নিয়ে,তাদেরকে ঘিরে আমাদের জীবন সাজাই। তাই কুরআন খুললে আপনি দেখতে পাবেন আল্লাহ্ আপনাকে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। আমরা যেন এইসব শ্রেণীর কার্যক্রম এবং পরিণতি দেখে সঠিক শ্রেণীটির অংশ হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারি সেজন্য কুরআনে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বিভিন্ন ধরনের, বিভিন্ন স্বভাবের মানুষের বৈশিষ্ট্য আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। এর উদাহরণ হিসাবে আমরা দেখতে পাইঃ
খিলফাহ পুনঃপ্রতিষ্ঠার পদ্ধতি - শায়খ আনওয়ার আল আওলাকী [রাহিমাহুল্লাহ]
সহযোগী হও, প্রতিপক্ষ হয়ো না।
সামনে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর মাঝে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, দ্বীনের বিভিন্ন শাখার কর্মীদের মাঝে পরস্পরসু-সম্পর্ক ও সহযোগিতার মানসিকতা বিলীন হয়ে গেছে। এমনকি পরিস্থিতি এই দাঁড়িয়েছে যে, কোনো এক শাখার একই ব্যবস্থাপনাধীন লোকদের মাঝেও পরস্পর বড় ধরনের বিরোধ দেখা দেয়। জীবনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় হয় অন্যকে খাটো করে নিজের অবস্থান উর্ধ্বে তুলে ধরার মধ্যে। ঈমান ও কুফর, হক ও বাতিলের দ্বন্দ্বের পরিবর্তে শুরু হয় অন্য এক লড়াই। প্রত্যেকের ধারণা, আমি যা কিছু করছি বা আমার দ্বারা যে কাজ হচ্ছে, সেটিই কাজ, আর সেটিই হক ও সত্য। অন্যরা যা কিছু করছে তা কোনো কাজই না। এভাবে নিজের কাজের প্রতি গুরুত্ব দিতে গিয়ে অন্যের কাজকে তুচ্ছ মনে করার মানসিকতাটাই মুখ্য হয়ে ওঠেছে
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)