পৃষ্ঠাসমূহ

জিহাদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জিহাদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

ইয়েমেনী জনতা এবং তাদের সহযোগিতা – শাইখ আবু মুহাম্মদ আল-মাকদিসি


প্রশ্নঃ  আব্দুল্লাহ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে আল-মুনথার বিন নু‘আম আল-আফতাস থেকে আবি থানা আবদ আর্-রাজ্জাক বর্ণনা করেছেন যে তিনি বলেছেনঃ ‘‘আমি ওহাবকে বলতে শুনেছি যে ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেছেন, নবী মুহাম্মদ (সা) বলেছেনঃ ‘‘বারো হাজার সৈন্য সহ একদল সৈন্যবাহিনী আদন-আবইয়ান থেকে আর্বিভূত হবে। তারা আল্লাহ এবং তাঁর রসূলকে বিজয়ী করবে; আমার এবং তাদের মাঝে তারা হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম’।’’

আমাদের সম্মানিত শাইখ আবু মুহাম্মদ আল-মাকদিসি, আল্লাহ্ তাঁকে ও আত্-তাওহীদ ওয়াল জিহাদ ফোরামের ভাইদের রক্ষা করুন, আল্লাহ আপনাদের উপর শান্তি ও রহমত বর্ষণ করুন। নিম্নে যা বর্ণিত হলোঃ

আপনার কাছে সাম্প্রতিক ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকা ও সম্প্রসারিত প্রদেশ আবইয়ান-এ তাওহীদের যোদ্ধা এবং শির্ক ও অন্ধকারের যোদ্ধাদের মধ্যে সংর্ঘষের খবর পৌঁছেছে । আমরা এ ঘটনার ফলাফল প্রত্যক্ষ করছি। আল্লাহর সাহায্য ও তাঁর রহমত তাওহীদের আহবানকারীদের প্রতি এবং সর্বদিক থেকে আর্বিভূত শাবাবদের (যুবকদের) সাহায্য ও সমর্থন কল্পনাতীত।

শাইখের প্রতি আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সামাজিকভাবে, ভৌগলিকভাবে, ঐতিহাসিকভাবে এ অঞ্চলের পরিচিতির সাথে সাথে…অনেক হাদীস এ ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে যার সত্যতা ও বর্ণনার দায়িত্বের ব্যাপারে এই উম্মাহর মুজাহিদ কোন শাইখই গবেষণা করেননি। আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি ইন্টারনেট সহ বিভিন্নভাবে ও বিভিন্ন উপায়ে অনুসন্ধান চালানোর পর কিন্তু আমাদের সময় ও চেষ্টা কোন কাজে আসেনি।

নবীদের ভূমি আপনার অপেক্ষায় রয়েছে...


মুসলিমদের হৃদয়ে সিরিয়ার জন্য একটি বিশেষ স্থান রয়েছে, আর কেন-ই বা থাকবে না যখন স্বয়ং আল্লাহ এই ভূমিকে এমন সমস্ত গুনে গুণান্বিত করেছেন এবং এমন উঁচু মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন, যা অন্য কোন ভূমিকে করেন নি। সিরিয়ার অতীত ইতিহাস এই ইলাহি ফয়সালার স্বাক্ষর বহন করে। আমাদের বিশ্বাস, ভবিষ্যতেও করবে। সিরিয়ার ফযীলত বর্ণনা করে ও সেখানে বসবাস করার উৎসাহ প্রদান করে বহু হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিরিয়ার জন্য বিশেষ বরকতের দুআ করেছেন। সিরিয়া এমন এক ভূমি যা হাজারো নবীর পদস্পর্শে ধন্য হয়েছে। এটা সেই ভূমি যেখানে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিরাজের রাত্রিতে সফর করেছিলেন। আর কিয়ামতের পূর্বে এখানেই মুমিনদের সেনাবাহিনীর হেড-কোয়ার্টার অবস্থিত হবে। সমস্ত উম্মাহ যখন ফিতনায় আক্রান্ত থাকে, তখনও সিরিয়ার ভূমি ঈমানের সতেজতায় সজীব থাকে।

সততার অধিকারীদের জন্যে ত্যাগ তিতিক্ষা সহজ। [পর্ব ৩]




হে লেবাননের সুন্নীগণ...(৪র্থ বিভাগ)

শাম এর ভাইদের অনুসরণ করুনঃ

শামের ভাইদের পথ অনুসরণ করার সময়টি আপনাদের নিকটে চলে এসেছে, এবং আপনাদের শত্রু হিযবুশ শাইত্বান(হেযবুল্লাহ) এর বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নেয়ার সময় হয়ে গেছে, যারা রাত-দিন আপনাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। যারা হত্যা করেছে নিষ্পাপ শিশুদের, হত্যা করেছে শামের সুন্নী মা-বোনদের এবং বৃদ্ধদের। লেবানন ও যদি একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, তখন এরাও সুন্নীদের উপর অত্যাচার করার এই সুযোগটি হাতছাড়া করবে না।

সততার অধিকারীদের জন্যে ত্যাগ তিতিক্ষা সহজ। [পর্ব ২]



শামে আমাদের ভাইদের প্রতিঃ (বিভাগ ৩)

মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আপনাদের ধৈর্য ও প্রতিরোধ এবং বাশার গং এর বিরুদ্ধে আপনাদের প্রতিরোধশক্তি দ্বারা এ বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে গেছে।তিন বছর যাবত, আপনাদের উপর বোমাবর্ষণ হচ্ছে, আপনাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হচ্ছে এবং আপনাদের সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে; তবু ও আপনারা যুদ্ধে শত্রুদের প্রচণ্ডভাবে ধরাশায়ী করে যাচ্ছেন। আপনারা তাদেরকে আহল আস-সুন্নাহর বিরুদ্ধে সীমালঙ্ঘনের মূল্য তাদের শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন; আপনারা ইতিহাসের পাতায় এক উজ্জ্বল ছবি এঁকে দিয়েছেন যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্মরণে রাখবে । আপনারা একটি যুদ্ধের বোঝা বহন করে আসছেন; যা পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের মানুষদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হলে তারা এর ভারে ঢলে পড়ত; এটা আপনাদের ধৈর্য আর সম্ভাবনাকেই বৃদ্ধি করেছে।

আর এই ক্রুসেডর জোট চায় ...

সততার অধিকারীদের জন্যে ত্যাগ তিতিক্ষা সহজ। [পর্ব ১]







দয়াময়,পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে


সকল প্রশংসা আল্লাহর। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম ও তার সাহাবাগণের প্রতি সালাত ও সালাম পেশ করছি। অতঃপর ,



জাতিসংঘের পতাকাতলে শামের মুসলিমদের বিরুদ্ধে চলমান ক্রুসেডের প্রেক্ষিতে, -পদক্ষেপ নেয়া, -মুসলিমদের উপদেশ দেওয়া ও কুফফারদের সতর্ক করা দরকার এবং আমরা বলি সকল ক্ষমতা আল্লাহরইঃ

আমার দেখা আনোয়ার আল-আওলাকি (রাহিমাহুল্লাহ) [প্রথম পর্ব]...

শেইখ আনোয়ার বিন নাসের আল-আওলাকি'র (রহ) সাথে আমার প্রথম দেখা হয় বরকতময় ৯/১১ এর বেশ কয়েক বছর আগে । সেটা ছিল ইসলামী পুনর্জাগরণের একদল তরুণ কর্মী, দা'য়ী এবং শিক্ষকদেরকে নিয়ে আয়োজিত ইসলামিক কনফারেন্স । আল-আওলাকি কথা বলছিলেন আল্লাহ'র দিকে মানুষকে দাওয়াত দেয়ার গুরুত্ব এবং পদ্ধতি নিয়ে । তিনি কোন কাগুজে-পন্ডিতের মতো কথা বলছিলেন না বরং স্বীয় জ্ঞান আর প্রকৃত অনুশীলনের মিশ্রণে দাওয়াতকে আত্মস্থ করা এক বাস্তব দা'য়ীর মতোই কথা বলছিলেন । ফলে আগত দর্শকদের মাঝে তার বক্তব্যের প্রভাব পড়ল ব্যপক, সবাই তার ব্যক্তিত্বের প্রশংসা করছিল । তারপর, তিনি দূরে চলে গেলেন, ফিরে এলেন অনেক বছর পর - তবে এবার তার সাথে আমার বেশ গাঢ় একটা সখ্য তৈরি হল । আমরা প্রতিবেশী ছিলাম, একই মসজিদে নামায পড়তাম (আল-আনসার মসজিদ) । মাঝে মাঝে তিনি জুমা'র খুতবা দিতেন, মাঝে মাঝে আমি দিতাম । পরে তার বাসার ঠিক পাশেই আল-মুমিনীন মসজিদ তৈরি হয়, তিনি সেখানেই নামায পড়তেন এবং জুমা'র খুতবা দিতেন । সেখানে কয়েকবার বক্তব্য দেয়ার জন্যে আমাকে দাওয়াতও করেছেন তিনি ।

আমার দেখা আনোয়ার আল-আওলাকি (রাহিমাহুল্লাহ) [২য় পর্ব]...

দাওয়াত এবং প্রজ্ঞা
শেইখ আনোয়ার ছিলেন সাধারণ মানুষের বক্তা । তিনি ইংরেজীতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন এবং তার আরবী বক্তব্যগুলো বেশির ভাগ সময়ই সাধারণের জন্যে ছিল না । চিন্তা ও মতামতের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ওলামা-মাশায়েখ, তালেবুল-ইলম এবং দায়ী'দের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি ছিল তার । কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন পরিবর্তনের কান্ডারী তাদেরকেই হতে হবে, তাদের একজনের সঠিক পথ পুরো গোষ্ঠীকে সঠিক পথে আনতে সক্ষম । ঠিক একারণেই তার বেশির ভাগ দাওয়াতী কর্মকান্ড ছিল ব্যক্তিগত ভাবে বিভিন্ন ওলামা-মাশায়েখ, দায়ী', গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের সাথে দেখা করা অথবা তালেবুল-ইলমদের জমায়েতে শরীক হওয়া ইত্যাদিকে ঘিরে । শেইখের সাপ্তাহিক তালিমে নিয়মিতই বেশ কয়েক ডজন তালেবুল-ইলম অংশ নিত । অনেক সময় এই সংখ্যা শ' ছাড়িয়ে যেত । সত্যি বলতে, পশ্চিমা ইংরেজী-ভাষী মুসলিমদের কাছে তার দাওয়াত যেভাবে সাড়া ফেলেছে সেটা আরব-উপদ্বীপের তুলনায় অতুলনীয় । নিঃসন্দেহে শেইখ আনোয়ার, আল্লাহ তার ওপর রহমত বর্ষণ করুন, ছিলেন ইংরেজী ভাষায় ইসলামের দায়ী'দের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের কাতারে ।

আমার দেখা আনোয়ার আল-আওলাকি (রাহিমাহুল্লাহ) [৩য় পর্ব]...

কঠিন পরীক্ষার সামনে অবিচল
দ্বীধাহীন সত্য প্রচার এবং শরীয়াহ'কে সামগ্রিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্যে জীবনে অনেক মূল্য দিতে হয়, আর এই মূল্য হচ্ছে ত্যাগ । প্রত্যেক দায়ী'কেই পরীক্ষার সম্মুখীন হয়ে প্রমাণ করতে হয় তার দাওয়াতের সত্যতা । মহান আল্লাহ বলেন,
 
" আলিফ, লাম, মীম । মানুষ কি ধারণা করে যে, তারা পরীক্ষা ছাড়াই ঈমান আনলাম বললেই পার পেয়ে যাবে ? নিশ্চই আমি পূর্ববর্তীদেরকেও পরীক্ষা করেছি; আল্লাহ অবশ্যই প্রকাশ করে দেবেন যারা সত্যবাদী তাদেরকে এবং যারা মিথ্যাবাদী তাদেরকে । পাপীরা কি মনে করে যে, তারা আমাকে ত্যাগ করে চলে যাবে ? তাদের এধরনের সিদ্ধান্ত কতই না খারাপ । যারা আল্লাহ'র সাথে সাক্ষাতকামী তারা জেনে রাখুক, আল্লাহ'র সেই নির্দিষ্টকাল অবশ্যই আসবে; তিনি সবকিছু শোনেন, সবকিছু জানেন । আর যে ব্যাক্তি পরিশ্রম করে সে তো নিজের জন্যেই পরিশ্রম করে, আল্লাহ বিশ্ববাসি হতে অমুখাপেক্ষী ।”  [সুরা আল-আনকাবুত(২৯):১-৬]

‘ফিদায়ী অভিযানের’ বিষয়ে ইসলামের বিধান – শাইখ ইউসূফ ইবন সালেহ আল-উয়াইরী [পর্ব ২]


 এতসক্রান্ত বিষয়ের দলিলসমূহ:

আত্মোৎসর্গকারী ফিদায়ী আক্রমণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে আলিমগণের রায় পর্যালোচনা কিংবা কিছু ভুল ধারণা অপনোদনের আগে আমাদের জন্য সমীচীন হবে এ সংক্রান্ত বিষয়ে শারীয়ার কিছু দলীল-প্রমাণ পেশ করা। এ দলীল-প্রমাণগুলি অনুসরণ করে এ সংক্রান্ত আলোচনা করা এবং এর বাস্তব উদাহারণ তুলে ধরা। আমরা ক্রমসজ্জিত দলীলসমূহের প্রতিটির পৃথক পৃথক ব্যাখ্যা করব  না , বরং বুখারী এবং মুসলিম শরীফকে মূল ভিত্তি করে অন্য হাদীসগ্রন্থগুলির রেফারেন্স উল্লেখ করব যা এ দলীলকে আরও বিশুদ্ধ প্রতিপন্ন করে।

‘ফিদায়ী অভিযানের’ বিষয়ে ইসলামের বিধান – শাইখ ইউসূফ ইবন সালেহ আল-উয়াইরী [পর্ব ১]



ভূমিকা 
যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার জন্য, যিনি আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন,

وَلَوْلَا دَفْعُ اللَّهِ النَّاسَ بَعْضَهُم بِبَعْضٍ لَّفَسَدَتِ الْأَرْضُ وَلَٰكِنَّ اللَّهَ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْعَالَمِينَ [٢:٢٥١]

“ আল্লাহ  যদি একদল  মানুষকে  অপর  দল  দ্বারা  প্রতিহত  না  করতেন  তাহলে  সমগ্র  পৃথিবী  বিধ্বস্ত  হয়ে  যেত” ১

দূরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক দিক-নির্দেশনা দানকারী ইমাম, সাইয়্যেদুল মুরসালিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি যিনি ঘোষণা দিয়েছেন,

"সেই মহান সত্তার শপথ! যার হাতে আমার জীবন, আমার ইচ্ছে হয় যে, আমি আল্লাহর পথে (যুদ্ধ করে ) নিহত হই, আবার জীবিত হই, আবার নিহত হই আবার জীবিত হই, আবার নিহত হই । ” ২